ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনের স্বাস্থ্য রক্ষার
জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য। সুস্বাদু এই ফলটি শুধু খাবার হিসেবে নয় বরং ভেষজ
চিকিৎসায় দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহৃত হচ্ছে।
এই ফলটি শরীরের জন্য ভিটামিন, খনিজ ও আঁশের উৎকৃষ্ট উৎস যা হজম ও রোগ প্রতিরোধে
সাহায্য করে। তবে অতিরিক্ত ফেলে ডায়রিয়া, শর্করা বৃদ্ধি এলার্জির যুগে দেখা
দিতে পারে। তবে চলুন জেনে নিই ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।F
পোস্ট সূচিপত্রঃ ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করলে প্রথমেই এর পুষ্টিগুণের
কথা সামনে আসে। প্রাচীনকাল থেকে এ ফলকে ওষুধি গুণসম্পন্ন হিসেবে
ব্যবহার হয়ে আসছে। ডুমুর ফল খুব নরম ও মিষ্টি জাতীয় ফল। ডুমুর ফলটি কাঁচা,
শুকনো অথবা পাকা প্রতিদিন রাতে খাবারের উপযোগী। ডুমুর ফল নামে পরিচিত হলে এটি
সবজি হিসেবে খাওয়া হয়। আজকের এই আর্টিকেলে ডুমুর ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
সম্পর্কে জানবো।
উপকারিতাঃ পুষ্টিগুনে ভরপুর ডুমুর ফলর উপকারিতা অনেক বেশি এবং রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়ক। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ভিটামিন,
ক্যালসিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকায় শরীরের সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।
পাশাপাশি হজম প্রক্রিয়াকেও উন্নত করে। একই সঙ্গে এটি ত্বক, হাড় ও রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য উপকারী। ডুমুর ফল ওজন কমাতে বিশেষভাবে কাজ করে। ডুমুরে
থাকা ফাইবার মেটাবলিজমকে ঠিক রাখে এবং শরীরে অতিরক্ত মেদ জমাতে দেয় না।
অপকারিতাঃ ডুমুর ফলে যেমন উপকারিতা রয়েছে তেমনি কিছু
অপকারিতাও বিদ্যমান। প্রতিটি জিনিসে যেমন সুবিধা রয়েছে এমন অসুবিধা রয়েছে।
ডুমুর ফল খাওয়ার ফলে বা তার আঠা লাগলে যদি কোন মানুষের এলার্জি থাকে তাহলে সেই
ক্ষেত্রে সমস্যা হতে পারে। আবার অতিরক্ত ডুমুর খাওয়ার ফলে শরীরের রক্ত পাতলা
হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়াও ডায়রিয়া বা নাক দিয়ে রক্ত
ঝরার সম্ভাবনা থাকে। বেশি পরিমাণ ডুমুর শরীরের ওজন বৃদ্ধি করে থাকে যার
শারীরিক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে।
ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম
ডুমুর ফল অনেকেই খেয়েছেন আবার অনেকেই জানেন না কিভাবে খেতে হয়। ফলের উপকারিতা
অনেক কারণ মানুষের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবেন সাহায্য করে এবং বিভিন্ন
ধরনের পুষ্টি উপাদান রয়েছে যেগুলো শরীরের হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে।
তবে চলুন জেনে নেই ডুমুর ফল কিভাবে খেতে হয়।
ডুমুর ফল কাঁচা অবস্থায় রান্না করে খাওয়া যায়
ডুমুর ফল কাঁচা চিবিয়ে খাওয়া যায়
ডুমুর ফলের সাথে মধু মিশ্রণ করে খাওয়া যায়
ডুমুর দ্বারা মিষ্টি জাতীয় খাদ্য তৈরি করা যায়
ডুমুর কেটে সালাত করে খাওয়া যায়
ফল পাকলে খালি মুখেই খাওয়া যায়
সহজ ভাবে বলতে গেলে ডুমুর ফল খাওয়ার কোন নিয়ম নেই কারণ এটি এমন একটি
কার্যকরী উদ্ভিদ যা সবজি, ফল এবং ওষুধ হিসেবে গ্রহণ করা হয়। আপনি খান না
কেন ভালো উপকার পাবেন। তবে কাঁচা অবস্থায় খেলে ভালো ফলাফল পাওয়া
যায়। ডুমুর ফল শুকনো, কাঁচা এবং পাকা সব অবস্থাতেই খাওয়া যায়।
ডুমুর ফলের ভিটামিন ও অন্যান্য উপাদান সমূহ
ডুমুর ফলে বিভিন্ন ধরনের খনিজ উপাদান থাকে যেমন ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম,
পটাশিয়াম, আয়রন, কপার ও জিংক। এছাড়া বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। ডুমুর ফলে
ভিটামিন এ, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি এবং ভিটামিন কে প্রচুর পরিমাণে রয়েছে। এসব
উপাদান ছাড়াও ডুমুর ফলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
ও ফ্ল্যাভনয়েড রয়েছে যা হৃদরোগের ঝুকি কমায় এবং ক্যান্সারের
বিরুদ্ধে কাজ করে।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদানের সমৃদ্ধ হওয়ায় ডুমুর ফল রোগ
প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ডুমরে থাকা পটাশিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে
বিশেষভাবে কাজ করে। ডুমুরে এমন উপাদান থাকে যার শরীরের খারাপ
কোলেস্টেরলের মাত্রা কমিয়ে ভালো কোলেস্টরের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। তাছাড়া আরো
বিভিন্ন উপাদানের কারণে ওজন কমাতে ডুমুর ফল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ডুমুর ফল খেলে কি হয়
সাধারণত ডুমুর ফল শরীর স্বাস্থ্য ভালো রাখে. এটি ফাইবার, ভিটামিন ও খনিজ পদার্থের
ভরপুর যা হারকে মজবুত করে, ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং রোগ প্রতিরোধ
ক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ঝুমুর ফল খেলে ওজন সহায়ক করে দীর্ঘসময় পেট ভরা রাখি যা
ঘন ঘন খাওয়ার প্রবণতা কমায়। আবার ডুমুর রক্তের আয়রনের অভাব পূরণ করে, প্রচুর
পরিমাণ আয়রন রয়েছে। শিশুদের, বয়স্কদের এবং গর্ভবতী মহিলাদের রক্তস্বল্পতা
দূর করে।
ডুমুর ফল কমল ও রেশম রাখে এবং হাত পায়ের নখ মজবুত রাখে। ডুমুর কোলেস্টরের মুক্ত
হওয়ার উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। ডুমুরে থাকা অ্যান্ডি অক্সিজেন
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ক্যান্সারের সম্ভাবনা কমাতে
পারে। ডুমুর ে থাকা ফাইবার হজম তন্ত্র কে সুস্থ রাখে এবং পেট পরিষ্কার করতে
সাহায্য করে। তাছাড়া ডুমরে থাকা ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম হাড়ের ঘনত্ব
বাড়ায় এবং অক্সিওপরোসিসি ঝুকি কমায়।
শুকনো ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা
শুকনো ডুমুরে প্রাকৃতিকভাবে গ্লুকোজ ও প্রটোজ ঢাকায় এটি শরীরে
তাৎক্ষণিক শক্তি যোগায় ফলে ক্লান্তি ও অবসাদ দূর হয়। শুকনো ডুমুরে পটাশিয়াম
বেশি থাকায় এটি ভোগ উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের সাহায্য করে এবং হাটের জন্য
সুরক্ষা বলায় তৈরি করে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে খারাপ কোলেস্টেরল কমে যায় এবং ভালো
কোলেস্টেরল বাড়ে। লিভার পরিষ্কার করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে এবং শরীর থেকে
টক্সিন বের করতে সাহায্য করে।
এছাড়া এতে ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে ঢাকায় চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো থাকে, ত্বকের
উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং বার্ধক্য বিলম্বিত হয়। যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য শুকনো
ফল সবচেয়ে বেশি উপকারী কারণ এটি দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে এবং অতিরিক্ত খাবারের
প্রবণতা কমায়। এতে থাকা ফ্যাটি এসিড মস্তিষ্কের কর্ম ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং
স্মৃতিশক্তিকে উন্নত করে। নিয়মিত খাওয়ার ফলে ত্বক মসৃণ ও ব্রণ কমে
যায়।
ডায়াবেটিকস নিয়ন্ত্রণে ডুমুর ফল
ডুমুর একটি অধিক পুষ্টিকর ফল, যাতে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, খনিজ, শর্করা এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এসব প্রাকৃতিক উপাদান ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অধিক
কার্যকর। সকল উপাদানের মধ্যে অন্যতম একটি হলো ডুমুর ফল। তাই বিভিন্ন পুষ্টি
উপাদানে ভরপুর ডুমুর হতে পারে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে অনেক
উপকারী। রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে ডুমুর সবচেয়ে বড় উপকারী ও গুণসম্পন্ন
ডুমুর ফল রক্তের শর্করার মাত্রার নিয়ন্ত্রণ রাখতে বিশেষভাবে কাজ করে।
ডুমরে থাকা ফাইবার এবং পেকটিন নামক এক ধরনের উপাদান শরীরের গ্লুকোজের শোষণকে
ধীরগতিতে নিয়ে আসতে সাহায্য করে। এর ফলে রক্তে শর্করা দ্রুত বাড়ে না। এটি
বিশেষভাবে উপকারী টাইপ ২ ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য যারা ইনসুলিন এর প্রতি সঠিক
প্রক্রিয়া দেখাতে পারেনা। ডুমরে রয়েছে পলিফেনলস যা একটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এই
উপাদান শরীরের গ্লুকোজের পরিমাণ কমায় এবং ইনসুলিন রেসিডেন্স কমাতে সাহায্য
করে।
তাছাড়া এটি উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার পাশাপাশি হৃদরোগের
কার্যকারিতাকে উন্নত করে। আর হৃদরোগের ছবি কমার ফলে আরো উন্নত স্বাস্থ্য নিশ্চিত
হয় ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য। উচ্চমাত্রায় ফাইবার থাকার ফলে হজম প্রক্রিয়া
এবং উন্নতি সাধন করে। এছাড়াও ফাইবার রক্তের শর্করার পরিমাণকে স্থিতিশীল
রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ডুমুর ফল খাওয়ার ক্ষতিকারক দিক
ডুমুর ফলের ক্ষতিকারক দিকের চেয়ে উপকারিতা অনেক বেশি। বিশেষ করে ডায়াবেটিস
রোগীদের জন্য কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। এই উপকারী ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছু
সাবধানতা অবলম্বন করা জরুরী। অতিরিক্ত ডুমুর ফল খাওয়ার ফলে কিছু শরীরে
শর্করার পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। যেহেতু ডুমুর ফল খাওয়ার কারণে রক্তের শর্করার
পরিমাণ পরিবর্তন হয় তাই ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ডুমুর ফল খাওয়ার পূর্বে
ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
যদি কারো পেট ব্যথা ও এলার্জির মত সমস্যা থাকে তাহলে প্রথমবার ডুমুর খাওয়ার আগেই
ভালো করে পরীক্ষা করে দেখা উচিত। কারণ ডুমুর ফল খাওয়ার ফলে এলার্জি ও পেটের
সমস্যা হতে পারে। যদিও ডুমুর খাওয়ার কারণে পরিপূর্ণতা অনুভব করতে সাহায্য করে
তবুও খালি পেটে ডুমুর না খাওয়াই ভালো কারণ এতে আপনার হজমের সমস্যা হতে পারে।
তাছাড়া ডুমুরে চিনিযুক্ত এবং প্রক্রিয়াজ ডুমুরের খাবার খেয়ে এড়িয়ে চলা উচিত
কারণ সরকার আর ক্ষতির কারণ হতে পারে শরীরের জন্য।
ডুমুর ফল কেন খাবেন
ডুমুর এমন একটি ভেষজ গুণসম্পন্ন ফল যা কাঁচা থাকতে সবজি হিসেবে খাওয়া যায় আর
পাকলে মজাদার ফল হিসেবেও খাওয়া যায়। বিভিন্ন রোগের চিকিৎসায় আদিকাল থেকে ডুমুর
পাতা, কাঁচা ডুমুর ফল ও পাকা ফল, বাকল, মূল ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ডুমুরের
এসব উপাদান হাড়ের গঠন মজবুত করা, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা পটাশিয়াম সমৃদ্ধ
ডুমুরের অন্যতম বৈশিষ্ট্য।
ডুমুর রথের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং ইনসুলিন নিঃসরণ বাড়াতে সাহায্য করে। দূর
থেকে যোগ হওয়া ফাইবার রক্তের শর্করা ভালো ব্যবস্থাপনা অবদান রাখে। ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে রাখতে ডুমুর ফল অত্যাধিক কার্যকর। তাই এই ফলটি খাদ্য তালিকায় রাখতে
পারেন। তাছাড়াও যাদের ধীরে ধীরে ওজন বৃদ্ধি হচ্ছে ওজন কমাতে পারছেন না।
তারা নিয়মিত ডুমুর ফল খেলে ওজন কমাতে দারুন কাজ করে।
ডুমুর গাছের শিকড়ের উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানি ডুমুর ফলের বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে কিন্তু ঝুমুর গাছের
শিকড়েরও প্রচুর পরিমাণে উপকারিতা রয়েছে। । ডুমুর গাছের শিকড় মূলত বেশ কিছু লোভ
নিরাময়ের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। রূপচর্চায় বা ত্বকের বিভিন্ন রোগ দূর করতে বেশ
কার্যকরী ডুমুর গাছের শিকড়। ত্বকের বিভিন্ন রকমের চুলকানি ও এলার্জি থেকে
মুক্তি দেয়। তাছাড়াও হজম শক্তি বাড়াতে অত্যন্ত কার্যকরী ডুমুর গাছের শিকড়।
ডুমুর গাছের শিকড়ের রস বের করে খেলে পেটের বিভিন্ন গ্যাসের সমস্যা দূর করে।
শ্বাসকষ্ট রোগীদের জন্য ডুমুর গাছের শিকড় শ্বাসকষ্ট দূর করতে পারে। এটি হাঁপানি
রোগীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদি নিয়মিত ডুমুর গাছের শিকড়ের রস ব্যবহার
করেন তাহলে গ্যাসের সমস্যা দূর হয়। আপনি যদি নিয়মিত ডুমুরের শিকড় ব্যবহার করেন
তাহলে বিভিন্ন রোগ নিরাময়ের কাজে লাগবে।
ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে প্রশ্ন উত্তর (FAQ)
প্রশ্নঃ ডুমুর ফল খাওয়ার কি কি উপকারিতা রয়েছে?
উত্তরঃ ডুমুর একটি পত্রিকার ফল যা হজম শক্তি বাড়াতে, হাড়ের সাথে ভালো রাখতে,
রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ ডুমুর ফল কারা খেতে পারবে না?
উত্তরঃ অহিংসার কঠোর অনুসারীর জন্য পরিচিত জৈনরা ডুমুর খাওয়া থেকে বিরত
থাকেন।
প্রশ্নঃ শুকনো ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা কি কি?
উত্তরঃ শুকনো ডুমুর একটি পুষ্টিকর ফল যা হজম প্রক্রিয়া উন্নত করে, রক্তচাপ
নিয়ন্ত্রণ এবং ত্বককে মসৃণ করতে সাহায্য করে।
প্রশ্নঃ কোন ধরনের ডুমুর ফল খাওয়া যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের মূলত দুই ধরনের ডুমুর পাওয়া যায় একটি কাক ডুমুর অন্যটি
জগডুমুর। মূলত দুই ধরনের ডুমুরই খাওয়া যায়।
প্রশ্নঃ ডুমুর ফল খেলে কি মোটা হয়?
উত্তরঃ ডুমুর খেলে ওজন কমায় এবং ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কাজ করে।
প্রশ্নঃ ডুমুর ফল খাওয়ার নিয়ম কি?
উত্তরঃ ডুমুর ফল খাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো নিয়ম নেই। আপনি যেভাবে খুশি খেতে
পারেন।
প্রশ্নঃ ডুমুর ফল বাংলাদেশের কোথায় পাওয়া যায়?
উত্তরঃ বাংলাদেশের ডুমুর ফল সাধারণত গ্রামের পরিবেশে যেমন বোন বাজারে ও রাস্তার
ধারে দেখতে পাওয়া যায়।
শেষ কথাঃ ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা
ডুমুর ফল খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে এই আর্টিকেলে বিস্তারিত আলোচনা
করেছি। এই আর্টিকেলে আমরা ডুমুর ফল কিভাবে খাবেন এবং খেলে কি হয় সে সম্পর্কে বুঝিয়ে লিখেছি আশা করি বুঝতে পেরেছেন। ডুমুর একটি অত্যন্ত উপকারী ফল। এই ফল জঙ্গলে কিংবা রাস্তার ধারে বিশেষ করে গ্রাম্য এলাকায় সব থেকে বেশি দেখা যায়। এ গাছ চাষ করার জন্য কোন নির্দিষ্ট যত্ন নিতে হয় না।
এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক আর্টিকেল আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত আপলোড করা হয়। আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লাগে এবং উপকারী বলে মনে হয় তাহলে এটি
অন্যের সাথে শেয়ার করবেন। এরকম স্বাস্থ্য বিষয়ক পোস্ট আমাদের এই ওয়েবসাইটে
নিয়মিত পোস্ট করা হয়। আরো নতুন নতুন তথ্য জানার জন্য আমাদের পরবর্তী আর্টিকেলটি
করুন এবং আমাদের সঙ্গে থাকুন, ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url